দেশের নারীদের পুষ্টি পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না। ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি ১ কোটি ৭০ লাখ নারী অপুষ্টির শিকার। আগে এই বয়সি নারীর উচ্চতা তুলনায় ওজন অনেক কম দেখা যেত। ১০ বছরের ব্যবধানে অপুষ্টি দ্বৈত বোঝার হার অনেক বেড়েছে।

তাদের একটি অংশ অপুষ্ট, তাদের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় কম। অন্য অংশটি স্থূল; অর্থাৎ তাদের ওজন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নারীদের অপুষ্টি দ্বৈত বোঝা শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য দেওয়া হয়। আইসিডিডিআরবি, যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি এবং ডেটা ফর ইমপ্যাক্ট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) গবেষক মহিউদ্দিন হাওলাদার।

তিনি বলেন, দেশে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি বিবাহিত নারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৮০ লাখ। তাদের মধ্যে ৫০ লাখ নারীর ওজন প্রয়োজনের তুলনায় কম; অর্থাৎ তারা অপুষ্টিতে ভুগছেন। অন্যদিকে এক কোটি ২০ লাখ নারীর ওজন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। তারা নারী স্থূল। অপুষ্টির কারণেই তারা স্থূল। এর অর্থ হচ্ছে— ওই বয়সি ৪৫ শতাংশ নারী অপুষ্টিতে ভুগছেন।

২০০৭ থেকে ২০১৭ সালের জনমিতি, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে বিবাহিত নারীদের মধ্যে ওজন স্বল্পতাজনিত অপুষ্টি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ২০০৭ সালে ছিল ৩০ শতাংশ । ২০১৭-১৮ সালে তা কমে ১২ শতাংশে দাঁড়ায়। অন্যদিকে ২০০৭ সালে ওই বয়সি ১২ শতাংশ নারী ছিল স্থূল। ২০১৭-১৮ সালে তা বেড়ে হয় ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ ১০ বছরের ব্যবধানে সার্বিকভাবে পুষ্টি পরিস্থিতির কিছুটা হলেও অবনতি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিষয়ক নীতিতে, পরিকল্পনায় বা প্রকল্পে কম ওজনবিষয়ক অপুষ্টিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। স্থূলতার সমস্যার দিকে নজর দেওয়ার সময় এসেছে।